ভাগীরথী এবং মধুমতীর মধ্যবর্তী অঞ্চল হওয়ায় নদীয়া শান্তিপুর অঞ্চলের ভাষার সাথে নড়াইল জেলার ভাষার কিছুটা মিল আছে। খুলনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ভাষার সাথে এই উপজেলার ভাষার বেশ মিল রয়েছে। ভৌগলিক কারণে প্রতি ৫০/৬০কিলোমিটার দূরত্বের ব্যবধানে ভাষা ব্যবহার ও উচ্চারণে যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। প্রমিত চলিত ভাষার সাথে নড়াইল জেলার আঞ্চলিক ভাষার কিছু পার্থক্য নিচের সারণীতে তুলে ধরা হলোঃ
প্রমিত চলিত ভাষায় উচ্চারণ |
নড়াইল জেলার আঞ্চলিক উচ্চারণ |
ক্রম |
প্রমিত চলিত ভাষায় উচ্চারণ |
নড়াইল জেলার আঞ্চলিক উচ্চারণ |
করেছি |
করিছি |
০১ |
ভালো আছিস? |
ভালো আছির? |
খেয়েছি |
খাইছি |
০২ |
ভাত |
বাত |
দিয়েছি |
দিছি |
০৩ |
ভিক্ষা |
বিক্কে |
রেখেছি |
রাখিছি |
০৪ |
পথ |
ফত |
গিয়েছি |
গেছি/গিছি |
০৫ |
টাকা |
টাহা |
দেখেছি |
দেখিছি |
০৬ |
কোনটা |
কোনডা |
বলেছি |
কোইছি |
০৭ |
ভাইটি |
ভাডি |
বলিসনি |
কোইসনেই/ কোলিনে |
০৮ |
বোন/ বোনটি |
বুনডি |
দ্যাখেন/ দেখেন |
দ্যহেন/ দ্যহে/ দেহে |
০৯ |
এবার |
ইবারা/এবারা |
দেখছি না |
দেকতিছি না |
১০ |
কথা |
কতা |
এখন |
এ্যহোন |
১১ |
কোন্ জায়গা |
কোন্ জাগা/ কুহানে |
যেতে |
যাতি |
১২ |
দুপুর |
দুফোর |
পারবো না |
পারবোনানে |
১৩ |
বুঝতে |
বুজতি |
পারবে না |
পাইরে দেবেনানে |
১৪ |
পারছিস না |
পারতিছিস না |
পারছি না |
পাইরে দেবোনানে |
১৫ |
খুব ভালো করেনি |
ম্যালা ভালো করিনেই |
খেলতে যাবি না? |
খেলতি যাবি? |
১৬ |
গোছল (স্নান) |
নাওয়া |
সকাল |
বিয়ান |
১৭ |
গোছলে যাই |
নাতি যাই |
শাশুড়ি |
শাউড়ি |
১৮ |
ছোট শিশু |
ন্যাদা/ গ্যাদা |
গোছল করব না |
নাবোনানে/ নাবোনানি |
১৯ |
খাবো না |
খাবোনানো |
করব না |
করবোনানে |
২০ |
দোবো |
দিবানি |
দেখিস |
দেহিসক্যনে |
২১ |
পারবি না/ পারবে না |
পারবিনানে |
আয় |
আইগো |
২২ |
চৈত্র মাস |
চৈত মাস |
বৈশাখ |
বৈশেক |
২৩ |
রোদ/ রোদ্দুর |
রৌদ |
হবে না |
য়োবিনানে |
২৪ |
করে দিয়েছে |
কৌরেদেছে |
করে দেবে |
কৌরে দিবেনে |
২৫ |
করে দেবে না |
কৌরে দিবিনানে |
হ্যা |
হয় |
২৬ |
মেয়ে |
ছেমড়ি |
|
|
২৭ |
ছেলে |
ছ্যামড়া |
সাহিত্য-সংস্কৃতি
কোন এলাকার সংস্কৃতির মাঝে ঐ এলাকার ব্যক্তি-পরিবার-গোত্র-সমাজ তথা জাতির চরিত্র ফুটে ওঠে। সেজন্যই সংস্কৃতি হলো জাতির দর্পন। নড়াইল জেলার,কালিয়া,উপজেলার সাংস্কৃতিক ভাবে সমৃদ্ধ। এই উপজেলার মানুষ সাধারণভাবে অসাম্প্রদায়িক, শান্তিপ্রিয় এবং অতিথি পরায়ন। প্রাচীনকাল হতে খেলাধুলা-সাহিত্য-গীত-চিত্রকলা ইত্যাদি চর্চার জন্য এই উপজেলা সুবিদিত। বিশ্ববিখ্যাত চিত্রশিল্পী এসএম সুলতান এই জেলার সন্তান। অভিনয়ের ক্ষেত্রে সন্ধারায় এ জেলার মানুষ, সুচিত্রা সেন আশৈশব বেড়ে ওঠেছেন এখানে। সুরকার ও কন্ঠশিল্পী কমল দাস গুপ্ত এ জেলার মানুষ। সংগীতে বিশেষ করে কবি গানের নমন্য পুরুষ বিজয় কৃষ্ণ অধিকারী বা বিজয় সরকার এবং জারী সম্রাট চারণ কবি মোসলেম উদ্দিন এ জেলার মানুষ। প্রচীন কবি ও সাহিত্যিক গুরুনাথ সেনের বাড়ী এখানে।
নড়াইল জেলার,কালিয়া, উপজেলার সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নাটক-যাত্রা-নৃত্য-সঙ্গীত-আবৃত্তি আয়োজিত হয়। উল্লেখযোগ্য লোকজ উৎসবের মধ্যে রয়েছে মেলা-পার্বণ-জারি গান-নৌকা বাইচ-ষাড়ের লড়াই ইত্যাদি। ক্রিড়ার মধ্যে রয়েছে ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস, লন টেনিস, হ্যান্ড বল, হা-ডু-ডু ইত্যাদি খেলা।
নড়াইল জেলার,কালিয়া,উপজেলার উল্লেখযোগ্য লোকজ উৎসব
ক্র.নং |
উ্ৎসব/ আয়োজন |
০১ |
নৌকা বাইচ |
০২ |
ষাড়ের লড়াই |
০৩ |
ঘোড়ার গাড়ি দৌড় |
০৪ |
সুলতান মেলা |
০৫ |
মোমবাতি প্রজ্বালন |
০৬ |
মুলিয়ার মেলা |
০৭ |
হিজলডাঙ্গার রথযাত্রা |
০৮ |
মুকুল মেলা |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস